ইফুটবলের সাথে যাত্রা : এ. আর. রিফাত

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামুয়ালাইকুম,  ভোর ৪ টা বেজে ৪০ মিনিট প্রকৃতি নিস্তব্ধ, এটাই পারফেক্ট সময় মেমোরিজ হাতরিয়ে মনের কথা গুলো […]

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামুয়ালাইকুম,  ভোর ৪ টা বেজে ৪০ মিনিট প্রকৃতি নিস্তব্ধ, এটাই পারফেক্ট সময় মেমোরিজ হাতরিয়ে মনের কথা গুলো বের করার। 

নিজের কথা গুলো শুরু করার আগে সর্বপ্রথম অসং্খ্য ধন্যবাদ দিতে চাই যারা এই এক্সট্রাওর্ডিনারি একটা প্রোজেক্ট মাথায় এনেছে।  আসলে ক্লাবের ক্যাপ্টেন + ম্যানেজার হওয়ার সুবাধে   ক্লাবে প্লেয়ার দের একটিভনেস ধরে রাখার জন্যে প্রায়শয় রচনা লিখতে হতো গেমিং ইতিহাস আর কমিউনিটি গুলোকে বর্ণনা দিয়ে,, বাট পাব্লিক লি কোন আর্টিকেল লিখার তেমন কোন সুযোগ ছিলনা কখনো,, লোকনাথ কালকে জানায় যে কোবেগ থেকে এই ইভেন্ট দিয়েছে,,, ফাইনালি আমিও একটু সুযোগ পেলাম সেই সুবাধে,,  ধন্যবাদ পাওয়া টা প্রাপ্য আপনাদের💛।

তো চলেন শুরু করা যাক আমার পেস ক্যারিয়ার।
👉 যা যা থাকছে :১. কিভাবে শুরু হলো,  ২.কিরকম চলল,  ৩.কি কি পেলাম,  ৪.এখানে COBEG এর ভূমিকা, ৫.স্যাটিস্ফাইড?   

✌️কিভাবে শুরু হলো:
সাল ২০১৯,   চারদিকে পাব্জি, ফ্রি ফায়ার তখন একটা অনেক বড় ট্রেন্ড বন্ধু মহলের প্রায় সবার ফোনেই  এই গেম গুলো চলে, সত্যি বলতে আমার কখনো ইন্টারেস্ট আসেনি এই দুইটা ট্রেন্ডিং গেমে,, চঞ্চল প্রকৃতির ছিলাম ফুটবল খেলতাম ফুটবল দেখতাম ফুটবলে অস্তিত্বে ধারণ করতাম,,  একদিন নিউজ ফিডে স্ক্রোল করতে গিয়ে কোন এক ফুটবল গ্রুপে একটা পিকচার দেখলাম ‘KONAMI’ নাম লিখা সাথে ক্যাপশনে লিখা ফুটবল প্রেমি যারা আছেন ট্রাই করতে পারেন আশা করি হতাস হবেন না।  ব্যাস সেদিন ইউটিউব থেকে ঘেটে ঘেটে ফোনে ডাউনলোড দিলাম,  কে জানতো এই গেম টায় এক সময় ধ্যান জ্ঞ্যান  এন্ড ইমোশন কে পর্যন্ত কন্ট্রোল করে মাইন্ড হ্যাক করে ফেলবে।  প্রথম দিন যখন গেমের প্লেয়ার দের কে দেখি ট্রাস্ট মি কোন প্লেয়ার কে আমি চিনতেছিনা আমি জানিওনা যে এরা কি আসলেই ফুটবল খেলে, এই না বলল রিয়েল লাইফ ফুটবল প্লেয়ার দের নিয়ে লঞ্জ করা এই গেম,,, হোয়াইট বল, সিলভার বল প্লেয়ার দের কে না চিনার ই কথা সবার।  যাইহোক এভাবে মাস খানেক যাওয়ার পর আমি এখন মোটামোটি গেম এর সব অপশন সম্পর্কে জানি  এও যানলাম যে আমাকে পরিচিত প্লেয়ার নিয়ে খেলতে হলে ব্ল্যাক বল পাইতে হবে,, আরো মাস খানেক যাওয়ার পর আমার স্কোয়াডে এখন মোটামোটি সবাই পরিচিত প্লেয়ার আছে,, এদের কে আমি ফুটবলে খেলতে দেখি,,,,  এখন আসলো পছন্দের প্লেয়ার দের পালা,, পছন্দের ফুটবলার বলতে তো আমি সর্বপ্রথম মেসি কে বুঝি,  তবে সেই মেসি আমার স্কোয়াডে ধরা দেয় প্রায় বছর খানেক পরে,, হ্যা ঠিকই শুনছেন প্রায় বছর খানেক পরে,,, সেদিনের ঘটনাটা আমার এখনো চোখের সামনে ভাসতেছে,, পড়াশুনার সুবাধে রাজশাহী তে ম্যাসে থাকতাম,  দুপুরের দিকের ঘটনা হবে মেসির ছবিটা ভেসে উঠার পর আমি যেরকম একটা  আওয়াজ দিয়ে চিল্লায় উটছিলাম যাস্ট ইনবিলিভেবল 😂   লিজেন্ড  বক্স আর আইকনিক বক্স তখন আমার কাছে আসমানের চাঁদ এর মতো,লিজেন্ড বক্স যদিও বা একটু ধরাছোয়ার মধ্যে ছিল কারণ জিপি দিয়ে ড্র দেওয়া যেত তারপরেও সেগুলো ডাইমন্ড এর মতোই।  ততদিনে বলা যায় আমি এডিক্টেডেট Pes 19 এর উপর,, ঘটা করে দিনে ৩-৪ ঘন্টা আমার গেমিং টাইম থাকতো এটা মাস্ট। আর এভাবেই শুরু হলো আমার  pes এর মধ্যে নিজেকে স্বপে দেওয়া,  পেশ এর যাত্রা।

( আচ্ছা আমি বোধহয় একটু স্লো আগাচ্ছি,,  আরেকটু ফাস্ট আগানো উচিৎ আমার,, আসলে কোনটা রেখে কোন ঘটনা টা বাদ দিবো সেটাই বুঝতেছিনা আসলে ওকে আরেকটু ফাস্ট আগানোর ট্রাই করতেছি😑)

✌️কিরকম চলতে লাগলো পরবর্তী গেমিং সময় : 
       এত টুকু জানতাম আমি যে গেম এ ফ্রেন্ড এর সাথেও ম্যাচ খেলা যায় তার এগনেইস্টে,,  বাট আশে পাশে কখনো কাউকে এই গেম খেলতে বা এই গেম এর নাম ও পর্যন্ত বলতে শুনিনাই,,  পাব্জি ফ্রি ফায়ার এর ভিড়ে এই গেম এর কথা বন্ধু সমাজে বলতে এক প্রকার লজ্জাবোধ ও কাজ করতো,, তাই ঘাপটি মেরে একা একাই অনলাইন ম্যাচ গুলো খেলতাম,,,  ফাইনালি একদিন রাজশাহী থেকে বাসায় যাওয়ার দিনে বাসে আমার হাইস্কুলের একটা ফ্রেন্ড তার সাথে দেখা Kabir Ahamed Sajib  ( খেয়াল হচ্ছে কিছু,  আমার কিন্তু স্পষ্ট খেয়াল আছে রে)   আমার ফোনে এই গেম দেখে সে আমাকে বলল কি রে তুই পেস খেলোস?  আমি এক অন্যরকম  এক উৎফুল্ল নিয়ে তাকেও পালটা প্রশ্ন করলাম তুই ও খেলোস?  তার পর তার থেকেই যানতে পারি যে আমাদের উপজেলার আরো ৫-৬ জন আসলে এই গেম  টা খেলে,, আমার ভেতরে তখন এক প্রকার অন্য রকম ভাল লাগা কাজ করছে যে এই গেম টা আমার সাথে সাথে আমার এলাকাতেও আরো কয়েকজন খেলে,, যাইহোক ফ্রেন্ডলিতে আমার সর্বপ্রথম  অপনেন্ট  আমি পেয়ে গেলাম। এখন গেম টা আরো কয়েকগুন মজাদার হয়ে গিয়েছে আমার কাছে,,, তার সাথে নিয়মিত আলাপ চলে প্রতি রাতেই মোটামুটি ফ্রেন্ডলি ওয়ার চলে দুজনের মধ্যে,,,, বেশ কিছুদিন পরে সজিব আমাকে একটা গ্রুপে এড করে,  গ্রুপের নাম টা ছিল  ” Sapahar Pes Club ”  ( বলে রাখি আমার হোমটাউন  “নওগাঁ,  সাপাহার ” )    সেখানেই দেখেছিলাম আমার মতো আরো কয়েকটা  এডিক্টেড দের কে।  ( নাইম, কিরণ,  ফয়সাল, সজিব, মুরাদ, রাকিবুল,  ইঞ্জামুল,  ইত্যাদি)    সেখান থেকে পরিচিত হয় এজ এ গেম পার্টনার হিসেবে S.k. Kiron  এর সাথে।   ২০১৯ সালের শেষের দিকে Pes 20 সিজন এর আপডেট,, খেয়াল আছে, আমরা গ্রুপে অগ্রিম হ্যাপি নিউ ইয়ার এর ও শুভেচ্ছা জানাইতাম আসলে কেনো সেই রিজন অবশ্য  সবাই জানেন।  তো ২০ এর শুরুর দিকের এটা ছিল প্রতি রাতের ঘটনা,,, রাত ১১ টা বাজতো কিরণ আমাকে নক দিতো “ভাই আছো?” আমি বলতাম হ্যা ব্যাস শুরু হইতো দুইজনের ফ্রেন্ডলি যুদ্ধ  সকাল ৬ টায়  লগইন  বোনাস এর ১০ কয়েন নিয়ে ঘুমাতে যেতাম।  কিরে কিরণ খেয়াল আছে তো ঘটনা.?    বাই দা ওয়ে,,  আমার ডিভাইস এর কথা বলি Redmi 5A বাজারে রেডমির সর্বপ্রথম ফোন,,, চার্জ থেকে ফোন খুললে ফোন টা আমার অফ হয়ে যেত মাথার কাছে চার্জার লাগিয়ে ১১-৬ টা ফোনে চার্জ লাগিয়ে খেলে পার করেছি অগনিত রাত। অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।  বাট দিজ ইজ ডেমন ট্রু।    আস্তে আস্তে আমাদের মেম্বার ডে বাই ডে বাড়তে শুরু করলো।   কিরণ আর আমি মিলে শুরু করলাম  এক নতুন অধ্যায় “Pes Junkies”  গ্রুপ এর মাধ্যমে। চেনা জানা যারায় পেস খেলতো সবাইকে আনতাম এই গ্রুপে ।   আর এভাবে চলতে থাকলো কয়েকজন এডিক্টেড এর  গেমিং  ফ্যান্টাসি। 

✌️কি কি পেলাম:  যত দিন যায় ততই গেম কে প্রোফেশনালি নিতে থাকি একটা  সিরিয়াসনেজ কাজ করতো,,  গেম নয়ে নো কম্প্রোমাইজ টাইপ আর কি,,,  যাইহোক ফ্রেন্ডলি তো খেলতাম তখন ঠিক আছে বাট রিয়েল লাইফ টুর্নামেন্ট  এর মতো যে এই গেম এও টুর্নামেন্ট সম্ভব ট্রাস্ট মি আমাদের কারোর মাথাতেও এই জিনিস টা আসেনি,,, এত দূর পর্যন্ত চিন্তা ও করতে পারিনি। যাইহোক ট্রাম লাইনের বাইরে চলে যাচ্ছি,  মেইন ঘটনার দিকে আসা যাক,,   ২০২০ এর মাঝামাঝি কিংবা শেষের দিকে অবশ্যই সেটা Pes 21 আসার আগের ঘটনা,,  তখন ফেসবুকেও দুই তিনটা পেস গ্রুপ এ এড হয়েছি মেম্বার ও অনেক,, অবিশ্বাস্য লাগতো দেশে এত মানুষ এই গেম খেলে তাহলে,,,,  COBPG নামে একটা সংস্থা টাইপ কিছু একটা দেখলাম  যেটা আসলে দেশের প্রতিটা ইফুটবল ক্লাব এর প্যারেন্টস হিসেবে কাজ করবে,, ক্লাব গুলোর দেখভাল ক্লাব গুলোর মধ্যে মধ্যস্ততা তৈরি,  প্রতিযোগীতা মূলক আয়োজন আরো ইত্যাদি,,,  পুরা আশ্চর্যজনক একটা জিনিস,, আমাদের উপজেলার যে কয়জন ছিল তাদের  সাথে কথা বললাম এই এই ব্যাপার,, ক্লাব একটা খুললে কেমন হয়?  অফিসিয়ালি আমাদের একটা পরিচয় থাকবে  আমরা অফিসিয়ালি একটা ফ্যামিলি হবো আমাদের মতো আরো অনেক ফ্যামিলি আছে দেশে অথচ আমরা কিছু জানিনা আরো বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পারব,,  সব চেয়ে বিস্ময়কর যেটা সেটা হচ্ছে তারা (COBPG) নাকি টুর্নামেন্ট এর ও আয়োজন করবে কি উত্তেজনাকর একটা ব্যাপার এটা আবার কিভাবে?   সেই ভাবনা থেকে শুরু আমাদের ফাইনালি  নতুন চ্যাপ্টার
” The scouts of Titans ”  এই ক্লাব কে সার্বভৌমত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মুখ ভূমিকা ছিল Abdullah Al Foysal  এর সাথে সামনে থেকে সাপোর্ট দিয়েছিল যাদের নাম আমি বারবারই সামনে আনতেছি  ( সজিব, কিরণ, ইঞ্জামুল, Abu Naeem,  ফয়সাল,  মুরাদ,  রাকিবুল,  ইত্যাদি)   এদের হাত ধরেই আজকের আমাদের The scouts of Titans  কে আমরা পেয়েছি।  যাইহোক   এক্সাক্ট ডেট এন্ড মান্থ টা ঠিক খেয়াল নেই বাট ২০২০ সালে অফিসিয়ালি আমাদের অর্থাৎ “The Scouts Of Titans ”  এর যাত্রা শুরু হয়। আমরাও একটা ফ্যামিলিতে আবদ্ধ হলাম,,,,  ক্লাবের প্রথম অপরিচিত মেম্বার যারা ছিল Jaki Khan,  Akanto, Aonkon,  Loknath Sarkar ,   Fahim Mahmud Prince ,   আরো অনেকেই।   এদের সবাইকে আসলে সেই Pes Junkis থেকে তাদের থেকে মতামত নিয়ে আমরা ক্লাব ওপেন করেছিলাম ,, কে বা কাহারা জানতো তারা সবাই এক সময় প্রতিটা মেম্বার এর আপন ভাই এ পরিণত হবে।
তাহলে?  এতদিন পর্যন্ত প্রায় দেড় – দুই বছরের গেমিং ক্যারিয়ারে এখন আমি অনেক কিছুই পেয়েছি। অনেক ভাল মনের মানুষ এর সাথেও পরিচিত হয়েছি। 


✌️COBEG এর ভূমিকা:
  COBPG ( আগে কিন্তু এই কমিউনিটির নাম আমি যেটা উচ্চারণ করেছি সেটাই ছিল পরে সেটাকে নাম চেঞ্জ করে হয়েছে COBEG সো কেউ কনফিউজড হবেন না)   তে যাত্রা শুরু হওয়ার পর সর্বপ্রথম যে ইভেন্ট টা রেজিষ্ট্রেশন হয় সেটা হচ্ছে আমাদের সবার পরিচিত “World Cup” আমি ভূল না বলে থাকলে   ওয়ার্ল্ড কাপের মধ্যে দিয়েই কোবেগ তাদের গ্র‍্যান্ড আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে।  আমরা সদ্য নিযুক্ত হওয়া একটা নতুন ক্লাব কোন অফিসিয়াল ম্যাচ ট্যাগ আমাদের সাথে নেই সবার স্ট্যাটাস শুন্য। আমাদের সাথে আরো অনেক ফ্যামিলি যুক্ত হয়েছে কোবেগ এর সাথে তখন প্রায় ১০০+ ক্লাব হয়ে গিয়েছে বেশির ভাগই আমাদের মতো নতুন। তো কোবেগে আমাদের স্পেশালি আমার সর্বপ্রথম অফিসিয়াল টুর্নামেন্ট যার জন্যে আমি অধিক আগ্রহে দিন গুনছিলাম সেই দিন টা আসলে কেমন ছিল,  এতটুকু বলেই শেষ করবো,,,  ক্যাপ্টেন গ্রুপে কল আসলো ম্যাচু অফিসিয়াল রাকিবুল অভ্রনীল থেকে ( আমি যদি ভূল না হয়ে থাকি অভ্রনীল ভাই তখন একজন ম্যাচ অফিসিয়াল ই ছিলেন)   আমাদের সর্বপ্রথম  ম্যাচ,  ডেব্যু ম্যাচ,   দা গ্রেট “Rakib Ul Hasan”  ভাই এর “Sports Arena”  এর সাথে।   অহ শিট, কি উত্তেজনাকর একটা দিন ছিল সেটা আমার কাছে  আমি যাস্ট কোন ভাবে বলে বুঝাতে পারছিনা,,  সেই ম্যাচ এর প্রতিটা সময় প্রতিটা ঘটনা আজ প্রায় ৪ বছর পর ও আমার অক্ষরে অক্ষরে সব মনে আছে সব চোখের সামনে ভাস্যমান,,, আমার নিজের ম্যাচ টা আমি ২ গোলে লিড নিয়েও ২-২ গোলে ড্র করেছিলাম অধিক উত্তেজনায়,  আমার হার্ট বিট সেদিন হয়তো ১২০ এ চলছিল। ফাইনালি পয়েন্ট দুই টিমের লেভেল হলে ডিসাইডারে গড়ায় ম্যাচ,,  সেই সময়ের আমাদের সুপার ট্যালেন্ট “রাকিবুল সামিম” (আমার পছন্দের একজন ইফুটবল গেমার,  মিস করি ভাইয়া তোমাকে)  ম্যাচ টা ২-১ এ জিতে নেয়।  অফিসিয়ালি প্রথম ম্যাচ টা আমরা উইন পেয়েছিলাম, সেই রাতে আমি আর ঘুমাতে পারিনি সারারাত।  যাস্ট একটা সুখকর মহুর্ত যেটা বললাম আরো অনেক অনেক এরকম মহুর্ত যেগুলো পেয়েছি এর সবই সম্ভব হয়েছে ‘COBEG’ এর জন্যে।  💛  

আচ্ছা শেষ করবো আমার সর্ব শেষ কথা গুলোর মাধ্যমে , এত কিছু পেলাম এত কিছু দেখলাম এত কিছুর পরে আমি স্যাটিস্ফাইড তো??  চলুন শেষ করা যাক।

✌️স্যাটিস্ফাইড?? :  এই প্রসংগ টা যখন আসে তখন আমার প্রাণের ক্লাব আর সেকেন্ড হোম ” The scouts of Titans ”  এর কথা আসবে। আসবে এখানে থাকা প্রত্যেক টা  মেম্বার্স দের কথা,,, হ্যাটস অফ ইউ ম্যান 🙏
সেখান থেকে শুরু করি,  ১ বছর চলে গিয়েছে ক্লাব এর যাত্রা হওয়া অথচ আমি আমার ২-৩ জন ফ্রেন্ড অর্থাৎ  সজিব, মুরাদ ছাড়া আর অন্য কাউকে চিনিনা তাদের সাথে দেখা হয়নি,,  রাজশাহী থাকি আগেই বলেছি নিজের উপজেলাতেও যারা ছিল তাদের সাথেও দেখা করার সুযোগ হয়নি এমন কি কিরণ এর সাথেও না,,, এই সব যখন ভাবতেছি তখন চলতেছে রমজান মাস,, মাথায় প্ল্যান আসলো কেমন হয় ঈদে তো সবাই বাসাতেই আসবো যদি ইফতার একটা দিন সবাই এক সাথে বসে করি,,, যাস্ট একবার এই কথা টা বলা মাত্র বাক ৬-৭ জন তারা সেকেন্ড ও নিলোনা সম্মতি জানাইতে,,, সেই রমজানে আমরা এক সাথে ইফতার করলাম কিরণ এর বাসায়। সেটা ছিল আমাদের প্রথম মিট আপ,,,  এর পরেও আক্ষেপ ক্লাবে বাহিরের ও অনেকে আছে এদের সাথে এত ক্লোজ তারপরেও  দেখা হয়নি।  এর মধ্যেই রাজশাহী থেকে ঢাকাতে মুভ করলাম,,  ঢাকায় আসার পর শুনি লোকনাথ খুব কাছেই থাকে আমার সাথে Opu Barman  অংকন, ফাহিম, Sayeem Ahammed  এরা সবাই ঢাকাতেই,,,  কয়েকদিনের ব্যাবধানে বেশ কয়েকজনের সাথে ঢাকাতে মিট করে নিলাম সবার এক্সপ্রেশন গুলো দেখলে মনে হচ্ছিল এরা সবাই কত কাল থেকে সবার জন্যে অপেক্ষা করছিল।  এখন ব্যাপার টা এমন  লোকনাথ অপু এরা আমার বাসাতেই হুটহাট চলে আসে যখন তখন বিকেলে চায়ের আড্ডা হয়।  আগে এটা শুধু একটা গেম এর মধ্যে সিমাবদ্ধ ছিল,,,  ব্যাপার টা এখন আর এখানে সিমাবদ্ধ নেই,,, গেম চলে গেলেও এই যেই বন্ধন টা তৈরি হয়েছে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে আমি হলপ করে বলতে পারি  এটা আর যাবেনা ।  ভার্চুয়াল থেকে শুরু করেও এভাবে এত ক্লোজ একটা চেইন বানানো যায় এটা ইফুটবল এ না আসলে আসলেই যানতেও পারতাম না।  ওহ বাই দা ওয়ে  অলরেডি কয়েকবার আমরা মেম্বার রা রিয়েল ফুটবল ও খেলে নিয়েছি,,, এই বছর আলহামদুলিল্লাহ আমরা আমাদের জার্সি ও করতে সক্ষম হয়েছি।  
এখন এত কিছুর পরে আপনারায় বলেন আমি কি স্যাটিসফাইড  না বলে আপনার মনে হচ্ছে?  আমার যায়গায় এসে যাস্ট ইমাজিন করুন একবার,,,  হাউ বিউটিফুল  ইট ওয়াজ 💛

তবে হ্যা,,  পেস  গিয়ে ইফুটবল  আসলো COBPG থেকে COBEG হলো  ,,,,  এখন মাঝে মধ্যেই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে KONAMI রে যদিও বা মনের ভেতরের সব রাগ ঝেড়ে দিয়ে গালিগালাজ করে বলিনা ক্যানো বালের গেম,  হেডার গেম আর খেলবই না এই সেই,,,, দিন শেষে কতবার যে এটাকে আনইস্টল করতে গিয়ে আবার ফিরে এসেছি,  একেবারে শুরু দিকে  বলেছিলাম  এই গেম আমার মাইন্ড হ্যাক করেছে,,,  এই যে টুর্নামেন্ট এর একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হারার পর ঠিকই রাতে একটু হলেও ইফেক্ট পড়ে, মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়,,,, যার জন্যে কোনামি কে গালিও দেই মন ভরে,,,,আবার  এই কোনামির জন্যেই কিন্তু  এত কিছু সম্ভব হয়েছে,,, সেক্ষেত্রে কোনামিকে কখনো সেভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়নি,,,  থ্যাংকিউ ‘KONAMI’ .  &  Thank You lot  ‘COBEG’ । 

আমি একদম আমার শেষ লাইনে চলে এসেছি,,, এখন সময় ৭:২০ মিনিট,,, শুরু  তে কিন্তু আমি একটা সময় উল্লেখ করেছিলাম আন্দাজ করতে পারছেন আসলে কত ভেতর থেকে সুক্ষ্ম অনুভূতি নিয়ে লিখেছি।   প্রায় ২:৩০ ঘন্টার বেশি ধরে আমি লিখছি,,,, কোন স্ক্রিপ্ট না কোন বানানো কিছু না,,,মেমোরিজ মনে করে করে এক একটা করে সব সত্য ঘটনা।   যা যা বলেছি ছবিতে সেগুলোর ই প্রতিফলণ দেখবেন,, গ্যালারিতে আমার ইফুটবল নামেই একটা ফোল্ডার ক্রিয়েট করা যেখানে আসলে এসব কিছু সংরক্ষিত থাকে।

আমি জানিনা আসলে আমার এত বড় আর্টিকেল আপনারা কেউ পড়বেন কি না,,,, তবে আমি আজকে মন খুলে লিখতে পেরেছি এতেই আমার হবে। 

এন্ড লাস্ট,,,  টুর্নামেন্ট ম্যাচে অনেকের সাথে অনেক সময় অনেক ভাবে মনমালিন্য হয়েছে আমরা সবাই এক  প্ল্যাটফর্মের মনে করে আপনাদের ছোট ভাই / বড় ভাই মনে করে প্লিজ ক্ষমা করে দিয়েন প্লিজ,🙏,,, সাথে আমার ক্লাব ” The scouts of Titans ” এর প্রতিটা মেম্বার তোমাদের ক্ষেত্রেও একই কথা। 

আর চেস্টা করেছি সবাইকে পোস্টে মেনসন করতে যাদের কে খুব কাছ থেকে পেয়েছি যারা ছিলে শুরু থেকে ভাল খারাপ দুই সময়তেই,,  তারপরেও কেউ ছাড়া পড়তেও পারো  সে জন্যেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।  আল্লাহ হাফেজ,  সবাই ভাল থাকবেন। 
(ইফুটবলের জয় হোক, জয় হোক বাংলাদেশি ইফুটবল প্লেয়ার দের,  জয় হোক কোবেগের)
ধন্যবাদ সবাইকে 💛

Scroll to Top