ইফুটবলের সাথে যাত্রা : Mahadi Hasan Tayeef

আসসালামু আলাইকুম। আমি ইফুটবল খেলি ২০২৩ সাল থেকে।আমার ইফুটবল এর যাত্রা শুরু হয় আমার বড় ভাই Zakir Hossain Fahim  এর […]

আসসালামু আলাইকুম। আমি ইফুটবল খেলি ২০২৩ সাল থেকে।আমার ইফুটবল এর যাত্রা শুরু হয় আমার বড় ভাই Zakir Hossain Fahim  এর কাছ থেকে।সেযখন ইফুটবল খেলতো তখন আমি সবসময় তার পাশে বসে খেলা দেখতাম আর ভাবতাম আমি কবে ফোন কিনব আর ইফুটবল খেলব। আমি যখন আমার ভাই এর সাথে বসে খেলা দেখতাম তখন তারে বলতাম ভাই আমাকে দাও একটা মেচ খেলি,হইতো মাঝে দিত মাঝে দিত না।তার পর  আমি যখন এসএসসি পরীক্ষা দেই তার বা দিয়ে শেষ করি ওইদিনই আমি মোবাইল কিনার জন্য আম্মারে বলি আম্মা মোবাইল কিনে দাও  আম্মা বলত মাত্র পরীক্ষা দিছে এখনই ফোন কিনতে হবে না আর কিছুদিন যাক পরে কিনিছ।এভাবে তিনদিন যাওয়ার পর আমি ফোন কিনি। তারপর আমি খেলা শুরু করে।আমি যখন কোন কিছু বুঝতাম না খেলার আমার ভাই আমাকে বুঝিয়ে দিত।  এভাবে কিছুদিন খেলার পর আমার সাথে পরিচয় হয় Mahfuzur Rahman  ভাইয়ের সাথে। আমি উনার ক্লাবে যোগদান করি ক্লাবের নাম Warrior Squad eFootball Club।এখনো এই ক্লাবে আছি।আমি যখন মোটামুটি খেলা শিখলাম তখন আমি হেরে গেলে অনেক রাগ উঠত।একদিন এমন রাগ উঠেছিল আমি ফোন থেকে গেমটি ডিলিট করে দিয়েছি। তারপর এক ঘন্টা যেতে না যেতেই আমি আবার গেমটি ডাউনলোড করি। আবার শুরু করি খেলা। আমি প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ ঘন্টা খেলতাম।আমি খেলতে খেলতে ফোনটা আমার নষ্ট হয়ে যায়। ফোন নষ্ট হওয়ার সময় গুলো আমার কিভাবে গিয়েছি আমি তা বলে বোঝাতে পারবো না। যখন আমার ফোন নষ্ট হয়ে যায় তখন আমি আমার চাচাতো বোন ওর ফোনে আইডি লগ ইন দিয়ে খেলতাম। এভাবে তিন চার মাস খেলার পর আমি একটা তিন হাজার টাকা দিয়ে টেকনো ফোন কিনি। এই ফোন দিয়া ৪-৫ মাস খেলি। চার পাঁচ মাস ক্লাস খেলার পর একদিন এক ম্যাচে পাঁচটা গোল খেয়েছিলাম আমার ভাই Zakir Hossain এর সাথে। তারপর আমি আমার ফোনটা রাগে ভেঙ্গে ফেলছিল। তারপর ওই  ফোন আবার ঠিক করি।ঠিক করে আবার খেলা শুরু করলাম। তারপর যখন আমি আস্তে আস্তে টাকার জমা করে আরেকটি নতুন ফোন কিনি।এই ফোন কেনার পর থেকে আমি  ভালোই খেলতেছি । আপনাদের দোয়ায় ইনশাল্লাহ আরো সামনের দেখি এগিয়ে যাব।

Scroll to Top