eFOOTBALL / PES যাত্রাঃ-
♻️২০১৭ সালের শুরু দিকে একদিন বাড়ির বন্ধু এবং ছোট ভাইরা মিলে পাশের বাড়ির সাথে ক্রিকেট খেলতে যাই,খেলার মাঝখানে দেখলাম সিনিয়র ২ জন ভাই বসে ফুটবল গেম খেলতেছে একনজর দেখেই ভালো লেগে গেছিলো গেমটি। ভাইদের জিজ্ঞেস করলাম এটা কি গেম নাম কি বললো PES। তারপর বাড়িতে এসেই খোজা শুরু করি গেমটি কোথাও খুঁজে পাই নাই, আমার এখনো মনে আছে প্রায় 2 মাসের মত শুধু আমি গেমটি খুঁজেছিলাম,কত রকম গেম যে ডাউনলোড করছিলাম হিসাব ছাড়া। অনেকদিন পর ইউটিউবে একটা ভিডিও পাই কিভাবে ডাউনলোড করতে হবে ভিডিও দেখে ডাউনলোড করি আর এতো খুশি হইছিলাম PES খুঁজে পেয়ে বলার মত না। প্রথম ব্লাকবাল পেয়েছিলাম (Matuidi) আর প্রথম CF ছিলো (Diego Costa)।
♻️PES এ সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত ছিলো PES ২০১৮ ও ২০১৯।
ঘুম থেকে উঠে সকাল বেলায় MD Mohsin Hossain ভাইয়ের দোকানে Raihan Ahmed Raj,Asif Daud,Momin Ahmmed,Shahin Alam Lovelu ভাইরা সবাই মিলে বসতাম দুপুর পর্যন্ত গেম খেলতাম আড্ডা দিতাম। বিকেলে এসে আবার সবাই আরেক চাচার দোকানে বসতাম গেম খেলতাম আড্ডা দিতাম ৯/১০ টা পর্যন্ত এটাই আমাদের প্রতিদিনের রুটিনে মত ছিলো😁। নিজেরা নিজেরা কত টুর্নামেন্ট আয়োজন করলাম খেললাম ওই দিন গুলো এখনো অনেক মিস করি😓।
♻️eFOOTBALL / PES এ সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ইভেন্ট ছিলো Apollo Tyres United League ইভেন্ট। ইভেন্টটি ছিলো ৭ দিনের যেখানে HOME/AWAY দুই দিক দেখে টপে থাকা দুই টিম ফাইনাল খেলবে। এখানে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো ম্যাচের কোনো হিসাব ছিলোনা,টানা ৭ দিন খেলে দুই দিক থেকে যারা টপে থাকবে তারা ফাইনালে যাবে। শুরুতে তেমন ইচ্ছে ছিলোনা খেলার পরে আমার এলাকার Raihan Ahmed Raj ভাই বলেন আমরা পারবো উনার আত্মবিশ্বাস ছিলো আমাদের উপর। আমাদের লক্ষ্মীপুরের নাম কমিউনিটিতে তুলে ধরার জন্য আমরা Lakshmipur Leopards BD ক্লাবের নাম দিয়ে খেলা শুরু করি। আমি Raihan Ahmed Raj,Mahedy Hasan Patwary,Mehedi Hasan,Arif Joy, MD Rakib আমরা ৬ জন মিলে খেলা শুরু করি। লগইন লিমিট না থাকায় শেষের ৩ দিন আমরা এক মোবাইল দিয়ে প্রায় ৭২ ঘণ্টার মত টানা গেম খেলি। অবশেষে ৭ দিন রাত না ঘুমিয়ে খেলার পর আমরা ফাইনালের উঠি। দূর্ভাগ্য বসত আমরা (আমি) ফাইনাল ম্যাচ হেরে যাই। ফাইনাল হারার কষ্টে প্রায় ৪/৫ মাসের মত আর গেম খেলিনাই।
♻️তারপর যখন গেমে আবার ব্যাক আসি আমার পরিচিত আগে একসাথে অনেক সলো টুর্নামেন্ট খেলতাম Mostafa Ev On ভাইয়ের মাধ্যমে The Predators ক্লাবে যাই। দীর্ঘদিন এখানে খেলার পর কোনো কারণ বসত ক্লাবটির অ্যাকটিভিটি কমে যায়।পরে এখানে থাকা আমার টিমমেট Nuhinuzzaman Chowdhury ভাইয়ের মাধ্যমে Warriors of PBOC তে আসি, PBOC তে আমি আসার একদিন আগেই Nuhin ভাই এসেছিলেন। PBOC তে এসে মোঃ মেহেদী হাসান,Engr Foysal Ahmmed,Dath Bangaman,FS Fahimul Islam ভাইদের সাথে আমার পরিচয় হয় যারা আমার আপন ভাইদের থেকে কম না।
♻️eFOOTBALL এর প্রথম LAN টুর্নামেন্টে যেটা আয়োজন করেন AIUB Cyber Gaming contest এবং যেটায় আমরা PBOC থেকে অংশগ্রহণ করি আমি মেহেদী ভাই, নুহিন ভাই এবং আমিনুল। আবারো দূর্ভাগ্য বসত প্রথম ম্যাচ জিতেও পরের ২ ম্যাচ আমরা হেরে যাই Hala Madrid – HM এর কাছে।
আমি সবসময় আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি আমার ক্লাবের জন্য জানিনা কতটুকু সফল হতে পেরেছি।
🔷eFOOTBALL/PES এ আমি এতদূর আসতে পেরেছি কমিউনিটির সকলের ভালোবাসায় এবং সহযোগিতায়❤️
♻️একটি কথা না বললেই নয় eFOOTBALL/PES বাংলাদেশের কমিউনিটি COBEG এর মাধ্যমে আরো সুন্দর হয়ে উঠে। আপনাদের এতো সুন্দর ডাটাবেজ কাজ সবার আলাদা নজর কেড়ে নেয়।
অসংখ্যধন্যবাদ জানাই COBEG এর সাথে যুক্ত থাকা সবাইকে যাদের অক্লান্তপরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা এত সুন্দর ভাবে টুর্নামেন্ট খেলতে পারতেছি।
পোস্ট লিখতে লিখতে দেখি ২ ঘণ্টা সময় শেষ😀
আবারো কোনো এক সময় না জানা গল্প আপনাদের শোনাবো😁
ইফুটবলের সাথে যাত্রা : Niyaj Babu
eFOOTBALL / PES যাত্রাঃ- ♻️২০১৭ সালের শুরু দিকে একদিন বাড়ির বন্ধু এবং ছোট ভাইরা মিলে পাশের বাড়ির সাথে ক্রিকেট খেলতে […]